ইমির পাচঁ দফা দাবিতে লাগাতার অবস্থান।

স্টাফ রিপোর্টার :
সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে শিশু সহ বৃদ্ধ বয়সের নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথাও নারী নিরাপদ না, এমন অভিযোগ করে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন স্কুল, কলেজ, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সারা দেশে চলমান অস্থিরতা এবং নারীর অরতি সহিংসতার প্রতিবাদে শাহবাগে অবস্থান করেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। নারী পুরুষ নিবির্শেষে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ৫টি দাবি নিয়ে লাগাতার অবস্থান করেন।
১/ বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্নকরণে: ধর্ষণ ও বলাৎকারের বিচার কার্যক্রম নিম্ম আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পন্ন করতে হবে, এবং দ্রুত রায় কার্যকর করতে হবে।
২/ ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস রেসপন্স টিম গঠন: আগামী ৭২ ঘণ্টার ভেতর প্রতিটি থানায় একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার নারী ও শিশু নির্যাতন একটি ইমারজেন্সি ক্রাইসিস রেস্পন্স টিম গঠন করতে হবে। একই সাথে থানার অভ্যন্তরে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে ভুক্তভোগী নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সহায়তা আইন সহায়তা ও মানসিক এখন সেবা দেওয়া হবে।
৩/ ধর্ষণের শিকার ভিকটিম এর পরিচয় গোপন : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা-২৪ সংশোধন পূর্বক ধর্ষণের শিকার ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের উপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে সেই ধারায় সংবাদমাধ্যমের সাথে সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যমকেও যুক্ত করতে হবে।
৪/ ধর্ষণের শিকার ভিক্টিমের পুরর্বাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করণ: ধর্ষণের শিকার ভিক্টিমের মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ সরকারকে নিতে হবে।
৫/ ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা : নারী ও শিশুর উপর সংঘটিত সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনা তৈরীর জন্য সরকারকে সরকারকে উদ্যোগী ভুমিকা পালন করতে হবে। এই উদ্যোগ গুলোর মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি শ্রেনী স্তরের নারী ও শিশুদেরকে সচেতন করা যাবে। একই সাথে স্কুল-কলেজের পাঠ প্রস্তুকে নৈতিক শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা পাঠদানের বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।