পপসম্রাট আজম খানের মেয়ে বললেন, সম্মানটা আগে দেয়া উচিত ছিল।

রুহুল আমিন শিশির
যার হাত ধরে বাংলাদেশে ব্যান্ড সঙ্গীতের সূচনা সেই আজম খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবার জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপ‚র্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫’ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে মরণোত্তর পুরস্কার পাচ্ছেন পপগুরু আজম খান। এমন খবরে খুশি তার পরিবারের সদস্যরা।

মৃত্যুর ১৩ বছর পর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন পপগুরু। আজম খানের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় মেয়ে অরণী খান বলেন, ‘খবরটি শোনার পর আমাদের পরিবারের সবাই অনেক খুশি। শুধু একটাই আফসোস, আব্বা জীবিত অবস্থায় এটা দেখে যেতে পারলেন না। এটাই শুধু কষ্ট। এই সম্মানটা অনেক আগেই তাঁকে দেওয়া উচিত ছিল। কেন এত দিন দেওয়া হয়নি এই আক্ষেপ করব কার কাছে আর করেই বা কী লাভ। দেরিতে হলেও রাষ্ট্র তাকে সম্মান দিচ্ছে, তাতেই আমরা খুশি। আব্বা বেঁচে থাকলে আনন্দটা দ্বিগুণ হতো।’

অরণী জানান, পুরস্কার নিয়ে ভাবতেন না তার বাবা আজম খান। মানুষের ভালোবাসাই ছিল তার কাছে বড় পুরস্কার। অরণী বলেন, “আব্বা কখনোই কোনো অ্যাওয়ার্ড বা পদক নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। তিনি মানুষকে গান দিয়েছেন, বিনিময়ে সবাই তাকে ভালোবাসা দিয়েছেন, এটাই ছিল তার বড় পাওয়া। জিজ্ঞাসা করতাম, আব্বা তুমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যাও না কেন, পুরস্কারই বা নেও না কেন? পুরস্কার পেলে তো আমাদের ভালো লাগে।আব্বা বলত, ‘মানুষের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ার্ড। ক্রেস্ট তো বাসায় এনে সাজিয়ে রাখব। এটা বড় কিছু নয়। মানুষের ভেতরে আমার জন্য যে ভালোবাসা জন্মেছে, সেটাই আমার বড় পদক।’ আব্বাই ঠিক ছিলেন। মানুষ তাকে ভালোবাসে বলেই এত বছর পরেও তাকে সবাই মনে রেখেছে। তিনি মানুষের জন্য গান গেয়েছেন। সেই গানই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।”