মার্চ ১৯, ২০২৫

ইংরেজিকে আমেরিকার সরকারী ভাষা হিসেবে ঘোষনা করলেন ট্রাম্প।

0
IMG-20250303-WA0001

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ রুহুল আমিন শিশির।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম আমেরিকার ক্ষমতায় আসার আগেই অনেক গুঞ্জন ছিলো যে ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় আসলে আমেরিকার অনেক কিছু তিনি পরিবর্তন করবেন। কথার সাথে তিনি কাজেরও মিল রেখেছেন। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে একের পর এক সরকারী বিধিমালা পরিবর্তন করেই চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ইংরেজি ভাষাকে আমেরিকার সরকারী ভাষা হিসেবে আদেশ দিয়েছেন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞপ্তি

রোববার (২ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই আদেশের ফলে সরকারি সংস্থা ও ফেডারেল তহবিল পাওয়া প্রতিষ্ঠান গুলো ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষাতেও নথি ও সেবা চালিয়ে যাবে কিনা, সে ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

এদিকে ট্রাম্পের নতুন এই নির্বাহী আদেশ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একটি আদেশ বাতিল করে দিয়েছে। আগের আদেশে, সরকার ও ফেডারেল তহবিল পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ইংরেজি না জানা ব্যক্তিদের ভাষা সহায়তা দেওয়া বাধ্যতাম‚লক ছিল।

ইংরেজিকে সরকারী ভাষা হিসেবে ঘোষনা করলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প। ছবি/সংগ্রহীত

আদেশে বলা হয়েছে, “ইংরেজিকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হলে তা কেবল যোগাযোগকেই সহজতর করবে না, বরং অভিন্ন জাতীয় ম‚ল্যবোধকেও শক্তিশালী করবে। আরও সুসংহত ও দক্ষ সমাজ গঠনেও এটি সহায়ক হবে। নতুন আমেরিকানদের মাধ্যমে, আমাদের জাতীয় ভাষা শেখার ও গ্রহণকে উৎসাহিত করার নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে এবং আমেরিকান স্বপ্ন অর্জনে নতুন নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করবে।”

 

নতুন আদেশে উল্লেখ করা হয়, “নতুন আমেরিকানদের স্বাগত জানানো এবং জাতীয় ভাষা শেখা ও গ্রহণকে উৎসাহিত করার নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে একটি অংশীদারিত্বম‚লক দেশে পরিণত করবে। ইংরেজি জানা শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় না, এটি নতুনদের সমাজে সম্পৃক্ত হতে, জাতীয় সংস্কৃতিতে অংশ নিতে এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে সাহায্য করে।”

 

ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করা সংগঠন ইউএস ইংলিশের হিসাব অনুযায়ী, ৩০টিরও বেশি অঙ্গরাজ্য ইতোমধ্যে আইনগতভাবে ইংরেজিকে তাদের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *