গাজার জেনিনে ২৩ বছর পর ইসরাইল ট্যাঙ্ক স্থাপন

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা। ছবি / সংগ্রহীত
স্টাফ রিপোর্টার: রুহুল আমিন শিশির।
২০০২ সালের পর এই প্রথমবারের মতো রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফিলিস্তিনের গাজার উত্তর পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে ইসরাইল। সেইসঙ্গে সেখানে হামলাও জোরদার করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার তেল আবিবের কাছে হলন শহরে সেনাবাহিনীর নতুন অফিসারদের অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীর এবং লেবাননে লড়াই চালিয়ে যাবে। অণ্যদিকে বার্তা সংস্থা পার্সটুডে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার উত্তর পশ্চিম তীরের শরণার্থীদের শহর ও শিবিরগুলিতে, বিশেষ করে জেনিন, তুলকারাম এবং তুবাস প্রদেশে ‘আয়রন ওয়াল’ নামে তাদের সামরিক হামলা জোরদার করেছে।
ইসরাইলের হামলার বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, এই হামলা পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং এর উপর পুরো কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা এই আগ্রাসন শুরু করেছে। এদিকে ফিলিস্তিনের কর্মকর্তাদের কথা জবাবে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী জাবাল আল-শেখ এবং সিরিয়ার সঙ্গে বাফার জোনে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য থাকবে।
কাতজ আরও বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে যে শরণার্থী শিবিরগুলিতে প্রবেশ করেছি সেখানে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদেরকে ফিরে যেতে দেব না। ইসরাইলি এই মন্ত্রী আরও বলেন, দুটি লক্ষ্য ছাড়া যুদ্ধ শেষ হবে না, আমাদের সকল বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়া এবং গাজায় হামাস শাসনের অবসান।