তজুমদ্দিনে মাদ্রাসায় চুরির পর আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

রিপোর্টার: মো. হাসনাইন, তজুমদ্দিন ভোলা।
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় রাতের আঁধারে একটি মাদ্রাসার গেট ভেঙে দুর্বৃত্তরা চুরির পর আগুন দিয়ে মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে।

সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা পুলিশকে জানিয়েছে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব গোলকপুর কাছিমুল উলুম আলিম মাদরাসায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কেচিগেট ভেঙে মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা মাদ্রাসার লাইব্রেরির টাকার ড্রয়ার ভেঙে ২০-২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং আলমারিতে থাকা মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের কাগজ, শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, মার্কশীট ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাইব্রেরির ফ্লোরে ফেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ফজরের নামাজ পড়তে উঠে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আগুন দেখে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিভাতে সক্ষম হন। ততক্ষণে সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিহিংসা থেকে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়েছে।

মাদ্রাসার কাগজ পত্রে আগুন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার নৈশপ্রহরী মো. রুহুল আমিন বলেন, “আমি রাতে মাদ্রাসার ভবনের নিচে একটি রুমে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে ফজরের নামাজ পড়তে উঠি, তখন দেখি কেচিগেট খোলা। উপরে গিয়ে দেখি লাইব্রেরিরও তালা খোলা পরে দেখি ভিতরে আগুন জ্বলছে। এর পর অনেক চেষ্টা করে আগুন নিভাতে সক্ষম হই। তবে মাদরাসার সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে।”
এ বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আইয়ুব আলী বলেন, “আমরা শিক্ষা সফরে চট্টগ্রামে রয়েছি। চুরির বিষয়টি শুনে বান্দরবানে না গিয়ে তজুমদ্দিনের দিকে ফিরে আসছি। মাদরাসার কোচিংয়ের নগদ ২০-২৫ হাজার টাকা শিক্ষকদের জন্য রাখা ছিল, সেই টাকা নিয়ে গেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা সেই সাথে আগুন দিয়ে মাদরাসার সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে।”
তজুমদ্দিন থানার এসআই মাসুম বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মাদরাসার কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে,এ ব্যপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।