হিন্দু যুবকের প্রতারণা ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে

রুহুল আমিন শিশির
এক মুসলিম তরুণীর জীবন নষ্টের অভিযোগ উঠেছে এক হিন্দু যুবকের বিরুদ্ধে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিলেও, প্রথমে রাজি হয়নি অভিযুক্ত যুবক। পরে মেয়ের চাপে সে ইসলাম গ্রহণ করে বিয়ে করলেও, বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।

জানা গেছে গাজীপুর জেলার মাইজগাড় কোর্ট ভাদুনে অমিত মল্লিকের বাড়ি। যিনি মীরের বাজার এলাকায় বেসরকারী ব্যাংক এনআরবিসিতে কর্মরত আছেন আর মেয়ে শাহনাজ এই ভবনের আরেক ব্যাংক ডাচ্ বাংলাতে কর্মরত। মেয়ের সাথে কথা বলে জানায় যায় ২০১৮ সালের শুরুতে তারা দুইজনেই ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে একসাথে কর্মজীবন শুরু করে। একসাথে কাজ করতে করতে একে অপরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং একপর্যায় সেই দুর্বলতা থেকেই ভালোবাসায় রুপ নেয়।
শুধু ছেলে যে মেয়েকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করে থেমে থাকেনি। অভিযুক্ত সেই অমিত মল্লিক এলাকার কিছু উঠতি বয়সের ছেলেদেরকে টাকা দিয়ে মেয়ের বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি এবং বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। যেহেতু মেয়ের কোন বড় ভাই নাই তাই সে খুব অসহায়। এতো কিছুর পরও মেয়ে যখন ছেলে বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করলেও যেন সে নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ছেলে বিভিন্ন ভাবে তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে। এমনকি মামলা তুলে না নিলে তাকে গুম করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।

এদিকে সরেজমিনে গিয়ে মেয়ের কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। মেয়ের সাথে কথা বলে আরো জানাগেছে ছেলে যে তাকে প্রলোভন ধর্ষন এবং পরবর্তিতে বিয়ে সবকিছু প্রমাণ আছে বলে জানিয়ে। যার কিছু কিছু প্রমাণ এই প্রতিবেদন লেখাপর্যন্ত আমার কাছে এসেছে।
এদিকে পরিবারের মান-সম্মান রক্ষা করতে মেয়েটির বাবা বিভিন্ন জায়গায় বিচার চাইতে গেলে প্রতিকার পাননি। একপর্যায়ে অপমান সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। বাবার মৃত্যু ও স্বামীর নির্যাতনে অসহায় মেয়েটি এখন সমাজের কাছে ন্যায় বিচার চাইলেও, কেউই তার পাশে দাঁড়াচ্ছে না।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন, প্রতারক স্বামীকে আইনের আওতায় আনা উচিত। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মেয়েটি এখন সামাজিক লাঞ্ছনা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
মেয়েটির পরিবার ও সচেতন মহল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রæত অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।