জাতীয় জোট আসছে: রাজনীতির আকাশে নতুন ভোর

জাতীয় জোট আসছে: রাজনীতির আকাশে নতুন ভোর
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হলো নতুন কালের যাত্রা। জাতীয় জোট নামের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্যের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়ে দেশের রাজনীতিতে চমক নিয়ে আসছে নতুন শক্তি।
বেকারত্ব ও দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ- এই মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগোচ্ছে এ জোট।

রাজধানীতে ঐতিহাসিক প্রস্তুতি সভা; রাজনৈতিক এ মহাযাত্রার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের এক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় জোটের প্রস্তুতি সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পার্টির চেয়ারম্যান সরদার মোঃ আব্দুস সাত্তার। আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকাশ।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি একটি নতুন মোড় নিতে চলেছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতেই জাতীয় জোটের সূচনা।
এক ছাতার নিচে ২০ টিরও বেশি দল নিয়ে খুব শীঘ্রই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে ঘোষণা হতে যাচ্ছে জাতীয় জোটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও জোটের আত্মপ্রকাশ। এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ২০টিরও বেশি রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান , যারা কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বাংলাদেশ পিপলস্ পার্টি -মোঃ মোস্তফা কামাল বাদল, বাংলাদেশ একুশে পার্টি- রবিউল আউয়াল, জাতীয় মুক্তিদল-বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.টি.এম. মমতাজুল করিম, ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন পার্টি – মোসলেম আলী, বাংলাদেশ গ্রীন পার্টি – ইঞ্জিনিয়ার মানসুর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকেশন পার্টি – মোঃ ইউসুফ পারভেজ, জাতীয় ওলামা কাউন্সিল – মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি- মোঃআমজাদ হোসেন সজল, বাংলাদেশ মানবিক পার্টি- আঃরাজ্জাক, বাংলাদেশ ইনোভেশন পার্টি- মোঃ ইসমাইল হোসেন,বাংলাদেশ জনতা লীগ – সাংবাদিক মোঃ মানসুর রহমান পাশা, বাংলাদেশ মুক্তি পার্টি – সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ গরিব দুঃখী জনতা পার্টি- নিউটন অীধকারী,ইসলামী লিভারেল পার্টি – মুফতি ফরিদ আহমেদ,বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট পার্টি-এ্যাডভোকেট আলমগীর,বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন – খাজা মহিবুল্লাহ শান্তিপুরী, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টি- মোঃ শাহ আলম তাহের, বাংলাদেশ গ্রামীণ কল্যাণ পার্টি -মোঃ মজিবুর রহমান, খেলাফতে দাওয়াত ইসলামী পার্টি – মুফতি মিজবাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সৎ সংগ্রামী ভোটার পার্টি -মোবারক হোসেন বিজ্ঞানী, এ ছাড়াও আরও অসংখ্য দল ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

কেন্দ্রীয় অস্থায়ী কার্যালয় ঘোষণা- জাতীয় জোটের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয় নির্ধারণ করা হয়েছে ইউসুফ ম্যানশন (৪র্থ তলা), ৪৮/১ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০। এখান থেকেই সারাদেশে কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
জনগণের প্রত্যাশা ও নতুন দিগন্ত ; প্রস্তুতি সভায় বক্তারা দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দেন- এই জোট জনগণের জন্য, প্রজন্মের জন্য এবং ভবিষ্যতের জন্য। দুর্নীতি ও বেকারত্বকে চিরতরে বিদায় দিয়ে, ন্যায়বিচার ও কল্যাণের বাংলাদেশ গড়াই হবে জাতীয় জোটের প্রধান লক্ষ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় জোটের এই আত্মপ্রকাশ রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। অনেকে একে “নতুন ভোরের সূচনা” বলে অভিহিত করেছেন।